* রাজধানীর মতিঝিলে ফুটপাতের ইসমাইল মোল্লার চাঁদাবাজির ‘ডন’!
*ফুটপাত দখলে বেপরোয়া, চাঁদাবাজ প্রতিদিন আয় লক্ষ লাখ টাকা!
* আমাদের ভাগ্যের আর উন্নয়ন হলো না-ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের!
* বিএনপির পক্ষ থেকে চাঁদাবাজিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না দল!
* মতিঝিল থানা কে ম্যানেজ করে চলছে ওপেন চাঁদাবাজি!
বিশেষ প্রতিবেদক: রাজধানী মতিঝিলে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ডন ইসমাইল হোসেন মোল্লার ফুটপাতে চাঁদাবাজি। গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিলেন। সরকার পতনের পর এই ইসমাইল হোসেন মোল্লা গ্রুপ বর্তমান চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রে। চাঁদা দিতে না চাওয়ায় ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পালিত সন্ত্রাসী দারা বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন বর্তমানে মতিঝিল পার্কের নিচে টর্চারিং সেল গঠন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বহিষ্কার ইসমাইল হোসেন মোল্লা বিএনপির নেতা ছত্রছায়ায় তিনি নিজেকে ‘ডন’ ভাবতে শুরু করেছেন। মতিঝিল থানা পুলিশ চাঁদাবাজি বিষয়টা জানলেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন মতিঝিল থানা পুলিশ এখনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায় থানা কে ম্যানেজ করে চলছে ফুটপাতে চাঁদাবাজি।
ফুটপাতের ফল বিক্রেতা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায়, তখন নেতাদের নামে চাঁদা তুলতেন ইসমাইল হোসেন মোল্লা নুরুর ভাতের দোকান থেকে। আওয়ামী লীগের সেই সরকার পতনের পর ভাবছিলো
এখন থেকে আর চাঁদা দিতে হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা ৫ তারিখ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ৭ তারিখই বিএনপির পরিচয়ে ইসমাইল হোসেন মোল্লা ফুটপাতের দোকানদারদের কাছে চাঁদার কথা বলেন।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হলো না। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার কাছ থেকে ৪ শত টাকা নিয়েছেন ইসমাইল হোসেন মোল্লা। এমনকি ফুটপাতের মতিঝিল এলাকার ফুটপাতে দখলে এখন।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ফুটপাত থেকে তার বাহিনী চাঁদা তুলছে প্রায় লক্ষ লাখ টাকা। পুলিশের একজন ব্যক্তি বলেন এরা ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার করে। কে এই ইসমাইল হোসেন মোল্লা খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বিগত দিন তার ভাই মরহুম শহীদ মোল্লা মতিঝিল ফুটপাতে চাঁদাবাজর টাকা তেনতুলেছিলেন। একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা জানান এখন অনেক নেতা ডাইনে বামে তাকালে শুধু নেতা ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এখানে চাঁদাবাজির মাত্রাটা বেশি। এ সবের নেতৃত্বে রয়েছেন রাজনৈতিক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক । কোথাও নিজেরা সশরীরে, কোথাও আবার তাদের অন্য লোক নিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে টাকা তোলেন তারা বিএনপির দলের পরিচয় দিয়ে পাঠিয়ে টাকা তোলেন তার বাহিনীরা।
এসব কর্মকাণ্ড চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি ও লুটতরাজে বাধা দেওয়ায় গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এসব চাঁদাবাজির দিয়ে ছানু নামে এক ব্যক্তিরকে মারধর করেন । নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। এরা দখল ও চাঁদাবাজির ক্ষেত্র বিভিন্ন জায়গায় মহড়া দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি করে আসছিল, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেশ কিছু আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে মতিঝিলে এরাই আবার বিএনপি সেজে সেসব জায়গায় চাঁদাবাজি করছে। এ সবের মধ্যে রয়েছে পিছনে থাকা নেতারা ।
ফুটপাতে চাঁদাবাজি, মতিঝিলে দখল নেওয়া থেকে শুরু করে বাদ যায়নি মতিঝিলের ফুটপাতের দোকানদারদের ময়লা ফেলার টাকা নেওয়া সহ ইসমাইল হোসেন মোল্লা নিয়ন্ত্রণে।
সরেজমিন মতিঝিলে ফুটপাতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে চাঁদাবাজি সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায়। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন ৩শ থেকে ৫শ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ থেকে এখন হাত বদল হওয়ার পরে ভিন্ন ব্যক্তি দিয়ে ফুটপাতে চাঁদার টাকা তোলেন।
ফুটপাতের কিছু লোকজনকে এলাকা ছাড়তে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। মোল্লার বাহিনীর তাদের অত্যাচারে সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে মুশকিল হয়ে পড়েছে।
* বর্তমানে যুবলীগের বিএনপি'র কর্মীরা যারা মতিঝিলের জমি ক্রয় বিক্রয় ভাড়া দিয়ে মনিটরিং করেন তাদের নামের তালিকা:
বিল্লাল, কেরু বিল্লাল,হোসেন, মানিক,পলাশ, ওসমান, মাসুদ, রনি, ড্রাইভার কবির গাড়ি পার্কিং,রাসেল কাঁচ মাল,দারিওলা রাসেল,ফকিরাপুলের সোহেল,বড় মাইনুল,ছোটমাইনুল,ওসমান,পলাশ,মঞ্জু,আকবার,কমলাপুরে রুবেল,কাইয়ুম,মহসিন,ফারুক,আলম,ছোট আলম।
এর পরবর্তীতে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন দূনীতির সংবাদে।
সম্পাদক প্রকাশক: মাহমুদুল হাসান, অফিস যোগাযোগ: বাড়ি নং- ০৪ (৩য় তলা), রোড নং- ০১, সেক্টর নং- ১০, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা- ১২৩০।
মোবাইল: 01972884400
ই-মেইলঃ durnitirs@gmail.com
Copyright © 2025 দূর্নীতির সংবাদ. All rights reserved.