নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না,তাদেকে বয়কট করতে হবে। তারেক রহমানের এমন নির্দেশনাকে পাত্তাই দিচ্ছেনা স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা নিজেদের আখের গোছাতে আওয়ামী ডেভিলদের বিভিন্ন কমিটিতে পদপদবীতে স্থান দিচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক আওয়ামী দোসর ডেবিল নুরুল ইসলামকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর এক রাজনৈতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৫ আগস্টের আগে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন। সে সময় আওয়ামিলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রমাণ রয়েছে এই প্রতিবেদকের হাতে।

তবে ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে গেলে নুরুল ইসলামও হঠাৎ করেই বিএনপির সমর্থক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিজয় দিবসে তার উদ্যোগে ছাপানো হয় বিএনপির ব্যানারে ফেস্টুন। এরপর থেকে তিনি ধীরে ধীরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে একীভূত হন এবং অবশেষে মহানগর কমিটিতে প্রবেশ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, এক সময়ে আওয়ামিলীগের সুবিধাবাদী নুরুল নিজের দল পাল্টাতে স্থানীয় কিছু (বিএনপি ও যুবদল ) নেতাদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তাদের সাথে সম্পর্কের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখন দলবদল করেছেন। ক্ষতিপয় কিছু অসাধু বিএনপি ও যুবদল নেতারা নুরুলকে বিএনপিতে পূর্নবাসন করতে মরিয়া ভুমিকা পালন করেছে।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে,এই নুরুলকে সিলেট মহানগর বিএনপির দক্ষিন সুরমা থানা বিএনপিতে পূর্ণবাসন করতে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আওয়ামিলীগের চিহ্নিত এই ব্যবসায়ীকে বিএনপিতে পূর্ণবাসন করা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ।

এদিকে ত্যাগী নির্যাতিত নেতারা বর্তমানে রাজনীতিতে অবহেলার পাত্র হচ্ছেন । ত্যাগীদের কমিটি থেকে সড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সু-কৌশলের মাধ্যমে। এনিয়ে বিএনপির মধ্যে চলছে কানাঘুষা।

আওয়ামী ডেভিলদের পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, এটি ব্যক্তি স্বার্থসংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক বাস্তবতা হিসেবে দেখছেন। তবে নুরুল ইসলামের অতীত কর্মকাণ্ড ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।চলবে