শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে যেখানে ফুটপাত, সেখানেই হকার। যেখানে হকার, সেখানেই লাইনম্যান। আর যেখানে লাইনম্যান, সেখানেই চাঁদাবাজি। রাজধানীর কেবল ফুটপাত নয়, অনেক এলাকার সড়ক, ছোট ছোট রাস্তায় দখল করে চলছে চাঁদাবাজি। এই টাকা যাচ্ছে কতিপয় পুলিশ, রাজনীতির কর্মী সহ অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে।
মতিঝিলের রাস্তায় দেখে বোঝার উপায় নেই- এটি রাস্তা নাকি মার্কেট। যদিও কাগজেকলমে এটি রাস্তাই আছে। সরকারি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তারা, বলছেন, মতিঝিলের চিত্র এক সময় এটি রাস্তাই ছিল। সরকারি এই রাস্তাগুলি এখন ভাড়া দেয়া হয়েছে হকারদের কাছে। কিন্তু সরকারি রাস্তা ভাড়া দিলো কারা? মুখ খুলতে নারাজ হকাররা। অথচ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তারা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন চাঁদা।
এখানে একটি দোকান নিতে ভিটে ভাড়া দিতে হয় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। আর ফুটপাত বাণিজ্যের পেছনে আছে কয়েকজন বিএনপি’র নেতা । যেমন ইসমাইল হোসেন মোল্লা বিএনপি বহিষ্কারকৃত কর্মী। হকারা জানান, প্রতিদিন ৩ শত ৫ শত টাকা করে দিতে হয় তাদের। যা পুলিশ এবং রাজনীতির কর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়।
রাজধানীর মতিঝিলের প্রাণকেন্দ্র যদি ফুটপাতে জায়গা কিনতে চান তাহলে ইসমাইল হোসেন মোল্লার কাছে গেলে জায়গা পাওয়া যাবে যার মূল্য এককালীন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। যদি কেউ ভাড়া নিতে চান তাহলে যাহার মূল্য প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ শত টাকা। উক্ত ফুটপাতের জায়গাটি ক্ষয়ের পর যদি কোন ব্যক্তি জায়গা বিক্রি করেন তাহলে যাহার মূল্য হলো ফুটপাতের মার্কেটিং বাহিনী দিয়ে মারপিট করে মতিঝিল থেকে উচ্ছেদ করা ।
সূত্রে আরও জানা যায় ইসমাইল হোসেন মোল্লা বলেন রাজনৈতিক দলীয় নেতাদের কিছু না দিয়ে কি দোকান বসাতে পারি। যদি তাই হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে চাঁদাবাজি চলছে । ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন আমাদের দলের যে কেউ হোক না কেন চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই নির্দেশনা বর্তমানে মানছেন না কর্মীরা।
মতিঝিলের জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের গলিতে ইসমাইল হোসেন মোল্লার ফুটপাতের জায়গা ভাড়ার দেওয়ার আরেক চিত্র: নুরু নামে হোটেল ব্যবসায়ীকে প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা ভাড়া দেন । হোটেল ব্যবসায়ী নুরু ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নুরু বলেন টাকা ছাড়া কেউ বসতে দেয় না।
ইসমাইল হোসেন মোল্লা আওয়ামী লীগের যুবলীগের কর্মীদেরও বর্তমানে পূর্ণবাসনে করেছেন ফুটপাতে দোকান দিয়েছে তাদের দিয়েই চলছে টাকা তোলার বাণিজ্য মহা উৎসব মোল্লার চাঁদাবাজি। যার সরজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে কে আওয়ামী লীগ কে বিএনপি।
মতিঝিলের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ জায়গা ক্রয়, বিক্রয় ,ভাড়া জবর দখল বন্ধ করতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
* মতিঝিলের ফুটপাতের, জায়গা জমি ক্রয় বিক্রয়ের ভাড়ার স্থান।
স্বৈরাচার সরকারের আমলের পর বিএনপি’র নেতার নাম বলে এবং বিএনপির লোক পরিচয় দিয়ে টাকা
তোলেন ইসমাইল হোসেন মোল্লা বটতলা, মতিঝিল, দিলকুশা, টাওয়ার,মতিঝিল পার্ক , গাড়ি পার্কিং,১৬ তলার গলি, বিমান গলি সহ মতিঝিলের আনাচে-কোনাচে গলির ভিতরে।
* বর্তমানে যুবলীগের বিএনপি’র কর্মীরা যারা মতিঝিলের জমি ক্রয় বিক্রয় ভাড়া দিয়ে মনিটরিং করেন তাদের নামের তালিকা:
বিল্লাল, কেরু বিল্লাল,হোসেন, মানিক,পলাশ, ওসমান, মাসুদ, রনি, ড্রাইভার কবির গাড়ি পার্কিং,রাসেল কাঁচ মাল,দারিওলা রাসেল,ফকিরাপুলের সোহেল,বড় মাইনুল,ছোটমাইনুল,ওসমান,পলাশ,মঞ্জু,আকবার,কমলাপুরে রুবেল,কাইয়ুম,মহসিন,ফারুক,আলম,ছোট আলম।
পরবর্তীতে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন দূনীতির সংবাদে।