বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
কালীগঞ্জে সামাজিক কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে ছোট ভাইয়ের পর বড় ভাইয়ের মৃত্যু  ঝিনাইদহে অনলাইন জুয়া সাইটের বাংলাদেশী এজেন্ট গ্রেফতার সিলেটে চোরাই চিনি কান্ডে আটককৃতরা জামিনে বের হয়ে এখন আরো বেপরোয়া  পাইকগাছার ঘোষখালী নদীর কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন  কালীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত, আহত ৪ কালীগঞ্জে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর নামে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা রাজবাটী এন্ড রিসোর্টের সামনে যুবককে কুপিয়ে জখম  কালীগঞ্জে দুই মাস ধরে নিখোঁজ দুই সন্তানের জননী: হত্যা ও গুমের আশঙ্কায় দিশেহারা পরিবার কালীগঞ্জে জমি-জমা বিরোধের জেরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

মাদক ও মানব পাচারের ‘নিরাপদ রুট’ মহেশপুর সীমান্ত

/ ৮৫ বার পঠিত
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

 

সোহেল রানা

দৈনিক দুর্নীতির সংবাদ

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এখন মাদক ও মানব পাচারের জন্য একটি ‘নিরাপদ রুটে’ পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ এই সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। একইসঙ্গে ভারত থেকে শতশত মানুষ অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। যা প্রতিদিন বিজিবির হাতে ধরাও পড়ছে। পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে আসছে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে সক্রিয় একাধিক পাচারকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে নির্বিঘ্নে মাদক ও মানব পাচারের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ চরমভাবে উদ্বিগ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তে মাঝে মধ্যেই মাদকসহ কিছু পাচারকারী ধরা পড়লেও, বড় ধরনের চক্রগুলো থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

বৃহস্পতিবার ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মহেশপুর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গত ১৫ মাসে—২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্ত থেকে প্রায় ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এতো বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ হলেও মামলায় আসামি থাকে না বললেই চলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাদক ‘পরিত্যক্ত অবস্থায়’ উদ্ধারের কথা বলা হয়। এতে নানা ধরণের প্রশ্নে সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, সম্প্রতি মাসগুলোতে কয়েক হাজার মানুষকে এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপারের অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল ও অভিযান চালানো হলেও, পাচার থেমে নেই। স্থানীয়দের বক্তব্য “যদি সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ও নজরদারি থাকে, তাহলে প্রতিদিনই কীভাবে এই পরিমাণ মাদক প্রবেশ করে? মানুষ পাচার হয় কীভাবে?”

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। এত কড়াকড়ির মাঝেও মাদক ও মানুষ পাচার হয় কীভাবে? এমন প্রশ্ন অভিজ্ঞ মহলের।

এ ব্যাপারে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম পিএসসির বক্তব্য জানতে তার সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *