শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
কালীগঞ্জে সামাজিক কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে ছোট ভাইয়ের পর বড় ভাইয়ের মৃত্যু  ঝিনাইদহে অনলাইন জুয়া সাইটের বাংলাদেশী এজেন্ট গ্রেফতার সিলেটে চোরাই চিনি কান্ডে আটককৃতরা জামিনে বের হয়ে এখন আরো বেপরোয়া  পাইকগাছার ঘোষখালী নদীর কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন  কালীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত, আহত ৪ কালীগঞ্জে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর নামে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা রাজবাটী এন্ড রিসোর্টের সামনে যুবককে কুপিয়ে জখম  কালীগঞ্জে দুই মাস ধরে নিখোঁজ দুই সন্তানের জননী: হত্যা ও গুমের আশঙ্কায় দিশেহারা পরিবার কালীগঞ্জে জমি-জমা বিরোধের জেরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সিলেট যুব লীগের দুই নেতার ভয়স্কর প্রতারণা

/ ৪৬ বার পঠিত
আপডেট সময় : শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:: সিলেটে বিগত ১৭ বছরে ২ যুবলীগ নেতাদের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে কত জন ভূক্তভোগী তা হিসেব করে গণনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুব লীগের দুই নেতার ক্ষমতার ধাপটে অতিষ্ঠ হয়েছেন সিলেটের সাধারণ মানুষ।

 

শুধু তাই নয় ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার হয়েছেন সাংবাদিক, পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও উঠতি তরুণীরা। সিলেট জুড়ে ভয়স্কর প্রতারণাকারী ডেবিল হচ্ছেন সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল ও সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন। নুরুদ্দীন রাসেল এর বাড়ী দক্ষিণ সুরমার লাউওয়াই এলাকায় এবং আবুল কাশেম রুমন এর বাড়ী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকায়।

 

ব্ল্যাকমেইলার পতিতা সম্রাট রাসেল- রুমনের ভয়ংকর প্রেমের ফাঁদে দিশেহারা অনেকে। সিলেট জুড়ে তাদের নাম শুনলেই অনেক মেয়ের গাঁ আঁতকে উঠে। তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবন অতিষ্ঠ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ী,চাকুরিজীবি ও সম্মানি ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইলিং কারে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাহার সাজানো রয়েছে একটি সাংবাদিক ও সন্ত্রাসী বাহিনী চক্র। এ চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের জোরপূর্বক বাধ্য করে তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। অনেকে সম্মানের ভয়েও এ বিষয়ে পুলিশের সহায়তা নিতে চান না। এসবের প্রতিবাদ করেতে গেলে হতে হয় ধর্ষিত ও সাইবার মামলা শিকার। অন্য দিকে কেউ-কেউ আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও এ চক্রটির মূলহোতা নিজেদের গণমাধ্যমকর্মী ও আওয়ামিলীগের পরিচয় দিয়ে থাকে, বিধায় ভুক্তভোগীরা ইচ্ছে থাকলেও পুলিশের ধারস্থ হতে সাহস পান না। একাধিক ভুক্তভোগী তাদের নাম পরিচয় না প্রকাশের শর্তে এ প্রতিবেদককে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রদান করেন। তারা বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন কৌশলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রাসেল- রুমন চক্র।

 

এর পর বিয়ে করার আশ্বাসে অনলাইনে উলঙ্গ হয়ে দেহ প্রদর্শন এর মাধ্যমে ভিডিওকলে কথা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা, রাতের পর রাত, আর এগুলো ভিডিও ও স্টীল ছবি রেকর্ড করে জিম্মি করেই শত-শত মেয়েকে পথে বসিয়ে সর্বস্ব নিঃস্ব করে দিয়েছে । এসব ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছাড়ার ভয় দেখিয়ে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য চলে দর কষাকষি। জিম্মি করা হয় ভূক্তভোগীদের। তার বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতারণার মামলা।

 

সিলেট জুড়ে বহুরুপি এক নাম নুরুদ্দীন রাসেল,ওই নামের অন্তরালে চলছে তাহার সকল অপকর্ম।

সূত্রে জানা যায়, তিনি সিলেট সিসিকের ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাথী হতে ফেসবুকে প্রচারনা চালান। সরকার পরিবর্তনের পর ইতিমোধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলা ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে কয়েকটি মামলা হয়েছে সিলেট কতোয়ালী, দক্ষিণ সুরমা ও শাহপরান থানায়। আর ডেবিল রুমনের নামে গোলাপগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে ৭ জন নিহতের ঘটনাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

 

রাসেলের পরিচয়ে রয়েছে ভিন্নতা, তিনি কখনও ছিনতাইকারী, কখনও পুলিশ- র্যাবের সোর্স, কখনও সাংবাদিক,কখনও আওয়ামীলীগ নেতা, কখনও পতিতা সম্রাট, আবার নিজেকে কখনও কবি বলে দাবী করেন।

 

যুবক বয়স থেকেই রাসেল চরিত্রহীন স্বভাবের ছিলো, তাই তার বাবা তাকে বাড়ী থেকে বেরকরে দেন। এজন্য তার পরিবারকে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে অনেক খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে। সূত্র জানায়, পরিবারিক ভাবে রাসেল বিয়ে করলেও সে বিয়ে ঝুলছে। সে তার বাবাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং মামলা দিয়ে আদালতে নিয়েও অপমান করেছে।

 

 

সূত্র আরও জানায়, এর আগে রাসেলের বিরুদ্ধে স্যোশাল মিডিয়ায় বিস্তর লেখা লেখি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভণে লাকী নামের একটি মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক এবং স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করারও অভিযোগ আছে। স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিতে লাকীর উপর বেশ কয়েকটি মামলা করেছে। লাকীও স্বীকৃতি আদায়ে তাহার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করেছে।

 

দুই নেতার মদদ দাতা হলেন যারা :

 

সিলেট যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা। তাহার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে নানা অপকর্মের মদদ দাতা হিসেবে চিহ্নিত। সিসিকের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং উপদেষ্টা সারোয়ার তাদের সহযোগিতা করতেন।

 

বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে জাহির করতে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট এর পদবী ব্যবহার করেন। এই পত্রিকার পরিচয়ে সিলেটে মামলা বানিজ্যে ব্যস্ত তারা শুধু তাইনা নিরীহ মানুষদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও মুক্ত করার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, পুলিশ র্যাব দিয়ে বিভিন্ন থানায় আসামী করার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। তারা উঠতি বয়সী মেয়েদের সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় রিপোর্টার বানিয়ে প্রেমের অভিনয়ে ভোগ করেন পরে তাদের দিয়ে বিভিন্ন হোটেল রিসোর্টে এবং বাসা বাড়ীতে পাঠিয়ে দেহ ব্যবসা করায়। শুধু তাইনা তারা ব্ল্যাকমেইলও করে। কাজ না হলে কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, কারও বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দিয়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

 

আর তাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ১১ টি ধর্ষণ মামলার আসামী বিয়ে পাগল ডেবিল তোফায়েল, আরেক ডেবিল নদীমুল্লা কামাল এছাড়াও ভয়ঙ্কর একজন সাইবার ক্রাইমার রয়েছে তাদের গ্রুপে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *